গ্র্যাজুয়েট সনদ আনার পথে মৃত্যুর সনদ মিলল মিমির

বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট সনদ নিয়ে ফিরবেন বলে। এখন চিকিৎসক আফসানা মিমির মৃত্যুর সনদ লিখে দিচ্ছেন।

আফসানা মিমি (২৬) ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। আজ রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ আনতে ইমাদ পরিবহনের একটি গাড়িতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিমি। মা কানিজ ফাতিমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে তাকে বাসে তুলে দেন।

কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে দুর্ঘটনার। পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে মৃত্যু বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে গোপালগঞ্জের আফসানা মিমিসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপারভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস, ড্রাইভার জাহিদ এবং সদর উপজেলার বনগ্রামের সামচুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ, মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের আনজু খানের ছেলে মাসুদ খান (৩০)।

মিমি গোপালগঞ্জ শহরের হিরাবাড়ি রোডের বাসিন্দা। আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলায়ই বাবাকে হারিয়েছিলেন মিমি।

পরিবহন ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন। তবে তারা নিশ্চিত করতে পারেননি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন

About admin

Check Also

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ছেলে, আবেগে কাঁদলেন ক্লিনার বাবা

মাত্র ১২০ টাকা খরচে ছেলের চাকরি হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। এভাবে ছেলের চাকরি হওয়ায় আনন্দে আবেগাপ্লুত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *