মোবাইল ফোনের মালিক গুরুতর আহত। কোনো কথা বলতে পারছেন না

আমরা খুলনার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে রাজবাড়িতে থাকতে হয়। ছোট ভাই একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তাকে ঢাকা ও খুলনায় থাকতে হয়। আজ সকালে তার ঢাকায় আসার কথা। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার শত চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না।’ নিখোঁজ যাত্রী আসফাকুজ্জামান লিংকনের বড় ভাই বিংসাম এভাবে সংশয় প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ইমাদ পরিবহনের বাসদুর্ঘটনায় খুলনার ৯ যাত্রীর মধ্যে তিনজনের সন্ধান মিলছে না। তারা হলেন আবিদ, আশরাফুজ্জামান লিংকন ও মহাদেব।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিষটি নিশ্চিত করেছেন ইমাদ পরিবহনের খুলনা রয়্যাল মোড়ের কাউন্টার মাস্টার শরীফ আল মামুন।

তিনি বলেন, ভোর ৪ টা ৫৫ মিনিটে চার যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের ২০৩ নম্বর কোচ সোনাডাঙ্গা উপজেলায় যায়। সেখান থেকে আরও পাঁচ যাত্রী নিয়ে ৫টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে সকালে ৮টার দিকে মাদারীপুর শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় পরিবহনটি।

কাউন্টার মাস্টার শরীফ আরও বলেন, সকালে ছয় যাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। তবে তিন যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এছাড়া চালক ও সুপারভাইজারেরও কোনো সন্ধান মেলেনি।

ওই বাসে থাকা রয়্যাল মোড়ের যাত্রী ফয়সালের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, ‘মোবাইল ফোনের মালিক গুরুতর আহত হয়েছেন। কোনো কথা বলতে পারছেন না। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা তেমন ভালো নয়।’ এ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সোনাডাঙ্গা থেকে ওঠা ইমাদ পরিবহনের অপর যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেঁচে আছি এবং সুস্থ আছি।’

About admin

Check Also

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ছেলে, আবেগে কাঁদলেন ক্লিনার বাবা

মাত্র ১২০ টাকা খরচে ছেলের চাকরি হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। এভাবে ছেলের চাকরি হওয়ায় আনন্দে আবেগাপ্লুত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *